Monday, October 21, 2013
Friday, March 8, 2013
বিএনপি ও আওয়ামীলীগ; মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।।
স্বাধীনতার পর থেকে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ
রাজনীতির নামে যে খেলায় মেতে উঠেছে, তা কোন
সভ্য মানুষের কাজ হতে পারেনা। রাজনীতির
নামে রাজনৈতিক
প্রতিহিংসা মিটমাটেই ব্যস্ত এ দুই দল। ক্ষমতায়
যাওয়ার জন্য হেন কোন কাজ নেই
তারা করেনি বা করতে পারেনা। কাদা ছুড়াছুড়ির
রাজনীতি আর মানুষ বলি দেওয়ার
জন্যই রাজনীতি। দেশের মানুষকে এ পর্যন্ত দুটি দল
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গেছে। বাস্তবে পূরণ
করেছে গুটি কয়েক। যা প্রতিশ্রুতির তুলনায়
অতি নগণ্য। আর কিছু করতে পারুক আর না পারুক
অপশাসন আর
মানুষ মারার ফাঁদ তৈরি গেছে ও যাচ্ছে তারা।
সমীকরণ শূণ্য। তাদের অন্ধ ভক্তরাও
কাদা ছুড়াছুড়িতে কম যায় না।
উদাহরণ দিচ্ছি। বিএনপির আমলে যত দুষ্কর্ম,
হত্যা সন্ত্রাস আর নৈরাজ্য হয় তা সমানুপাতিক
ভাবে আওয়ামীলীগ
করে যায়। একে অপরের বিচারের
প্রতিশ্রুতি দিতেই থাকে। এ ওর বিচার
করবে সে তার বিচার করবে। এভাবেই চলছে তাদের
মরণ কামড়ের খেলা। তাদের
ভক্তরা বাহবা দিয়ে তুলনা করে যায়
তারা বেশি অপকর্ম করেছে বা তারা কম অপকর্ম
করেছে। আরে মাঝখানে যে হাজার হাজার প্রাণ
যাচ্ছে তাদের কি সেই দিকে খেয়াল আছে??
হত্যা হত্যাই। কম আর বেশি বুঝিনা।
হত্যা হবে কেন??? যত দোষ সব নন্দ ঘোষ। এই
নীতিতে চললে তো দেশের
কিছুই হবেনা। দেশের জন্য রাজনীতির
নামে ভন্ডামী বন্ধ করুন। বিএনপি আর আওয়ামীলীগ
মুদ্রার এ পিঠ ওপিঠ।
যে যাই বলুক, দেশের আর মানুষের জন্য
রাজনীতি করলে এত এত
সমস্যা থাকতোনা বলে আমি বিশ্বাস করি। এই
ক্ষমতার মোহ যতদিন রাজনীতিবিদদের
মধ্যে থাকবে ততদিন দেশ এই অস্থিরতার মাঝেই
থাকবে। কোন সমাধান হবেনা রাজনৈতিক
বিশৃঙ্খলার। দেশ, মাটি আর মানুষের কথা মাথায়
থাকলে দূর্নীতি কখনোই
মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনা। এই
হানাহানি মারামারি হত্যাযজ্ঞ প্রতিহিংসার
রাজনীতি যতদিন থাকবে ততদিন আমাদের মাঝ
থেকে ক্রমেই একটি একটি করে তাজা প্রাণ
ঝরতে থাকবে। আপনারা রাজনীতিবিদরা নিজের
স্বার্থে ছেলেমেয়েদের দেশের বাইরে পড়ান, আর
আপনারা আমাদের দেশপ্রেম শেখাবেন কি করে??
আপনাদের ছেলেমেয়েদের রাখেন এসিঘরে আর
জনতাকে মাঠে নামান আপনাদের স্বার্থসিদ্ধির
জন্য। কত জঘণ্য আপনাদের রাজনীতি। যদিও শেষ
পর্যন্ত আমরা আপনাদেরই দ্বারস্থ হই,
বলতে পারবেন, আপনাদের মানুষ কি চোঁখে দেখে???
ঘৃণা আর ঘৃণা আপনাদের জন্য।
দেশকে ভালবাসা কি খুব কঠিন কাজ??
চিন্তা করে দেখুন আপনারা দেশকে ভালবাসার
সুযোগ পান সবচে বেশী। আর আপনারাই তার মর্ম
বুঝতে চাননা। ধিক। জানেন কি আপনাদের জনগণ
আজো আপনাদের ভোট দেয়
কেন?? দেশের মানুষ রাজাকার আর সৈরশাসন
থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে একমাত্র আপনাদেরই
নির্বাচন করে।
দেশের কাতারে আসুন, মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় আসুন,
মানুষের কাতারে আসুন। দেশ প্রেমকে আল্লাহর
ওয়াস্তে জাগ্রত করুন।
Thursday, February 7, 2013
প্রজন্ম একাত্তর
এ দেশের
ইতিহাসে ছাত্ররা প্রতিটি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল,
রাখছে, রেখে যাবে।
রাজনীতিবিদদের অনুরোধ, দেখে নিন নতুন
প্রজন্মকে, যে কাজ আপনারা পারেননি,
তা আমরা করছি, করে যাব।
এ আন্দোলন রাজনীতিবিদদের
বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনের
আন্দোলন। দেখে নিন নতুন প্রজন্ম কাদের চায়,
কি চায়। দেশদ্রোহীর ঠায় নাই এ বাংলায়।
সরকার যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে এ
রায় নিয়ে কোন ধরনের তালবাহানা করে, এ জনগণ
ছাড়বেনা, এরা নয়া প্রজন্ম এরা রাজনীতিবিদ নয়।
বিএনপি আওয়ামীলীগ কোন রাজনৈতিক দলই যাতে এ
আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক
ফায়দা লুটতে না পারে তা জন্য সবাইকে সতর্ক
থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
আসুন নতুন করে বাংলাকে সাজাই, এইতো সময়
রাজাকার আর দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার,
রাজাকার দমন দিয়েই না হয় শুরু হোক আন্দোলন।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা আর
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন যে রাজাকার
বিরোধী আন্দোলন চলছে, তা থামবার নয়।
এই যুদ্ধাপরাধীদের আর এক মুহুর্তের জন্যেও
পতাকা ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা।
নির্লজ্যরা বাংলার পতাকার যোগ্য নয়।
হতে পারেনা। ছাত্র জনতা জেগে গেছে, আর রেহায়
নেই।
নব জাগরণের সময় এসে গেছে, নব সূর্য উদয়ের
অপেক্ষা মাত্র এখন।
যে আগুনে জ্বলছে পুরো বাংলায় তা জ্বলতে থাকবে,
রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করুন, ফাঁসির রায় প্রদান
করুন। বিচার বিভাগে প্রকৃত
পক্ষে কি হচ্ছে জনগণকে জানান, আমরা জামাত
শিবির আওয়ামীলীগ অথবা বিএনপি বুঝিনা,
বুঝি শুধু
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার্। এই বাংলায় ওদের ঠায়
হতে পারে না না না না।।
বাংলাদেশ গর্জে ওঠো, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ
খ্রিষ্টান কেউ
ভেদাভেদ নেই, এটা আমাদের জাতীয় জাগরণের
ইস্যু,
শুধু
রাজনৈতিক মুক্তির জন্যে নয়, কলঙ্ক মুছতে নয়, নতুন
প্রজন্মের
নব সূচনায় সূচীত হোক এই প্রজন্ম চত্বর থেকেই,
প্রজন্মের পর
প্রজন্ম ধিক জানাক এই কসাইদের।
কে বিরোধী কে সরকার মোদের কাছে সব সমান,
হিন্দু বা মুসলমান বৌদ্ধ অথবা খ্রিষ্টান, জাত
পাতের ধার ধারিনা, বিচার হবে একটাই,
ফাঁসি চাই।
এই যুদ্ধে নতুন প্রজন্মের রাজাকারদের
চিনে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে।
দাবি এখন একটাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই।।
কে বিরোধী আর কে সরকার বাল দেখার টাইম
নাই।
বিবেককে জাগ্রত করার সঠিক সময় এসেছে, অন্ধ
মোহে রাজনীতি নয়, স্বদেশ প্রীতি প্রকাশের
এইতো সময়। এতদিন যারা দেশের অস্তিত্ব
সংকটে ছিলেন,
যারা প্রতিক্রিয়াহীন, প্রগতিশীল(!), সুশীল সকল
রাজনীতিবিদ
দলকে বলছি, সাধু সাবধান, শাহবাগ স্কয়ার
দেইখা লন।।
বাংলাদেশের হৃদয় হতে হৃদয়ে, বাংলাদেশের হৃদয়
এখন শাহবাগ।
গণজাগরনের মাধ্যমেই ফাঁসি হবে, আই রিপিট
ফাঁসি হবে।
বাঙ্গালি জাতি ও সংস্কৃতির ভিত্তি এতটাই
গভীরে স্থিত যে,দু-চারটি ভাস্কর্য টেনে-
হিচড়ে নামিয়ে বা চাপড়াশি-
চাড়ালি বক্তৃতা দিয়ে এ জাতির
শান্তিতে ব্যাঘাত
ঘটানো ছাড়া আর কিছুই করা সম্ভব না ।
যা বোঝা গেল,
গনজাগরণের মাধ্যমেই
ফাঁসি বাস্তবায়ন করা হবে।
জরুরি ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বিশ্বাসী,
গণমুখী, গণতান্ত্রিক ৩য় শক্তির উত্থান চাই। কোন
চশমা কিংবা নাগ্রা পরা ডিকটেটর চাই না ।
এ এক নতুন যুদ্ধ, পাকিদের বিরুদ্ধে নয় তাদের
দোসরদের
বিরুদ্ধে নয়, এ যুদ্ধ আমার মা বোনদের ইজ্জত
লুন্ঠণকারীদের
বিরুদ্ধে, এ যুদ্ধ লক্ষ শহীদের আত্মার
শান্তি কামনায়, এ যুদ্ধ
শত হাজার নারীর সম্ভ্রমহারা কষ্টের
জ্বালা লাঘবের বিরুদ্ধে, এ
যুদ্ধ তথাকথিত মানবতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে নয়
মানব সভ্যতায়
কলুষিত চরম ঘৃণ্য এক দল পশুর বিরুদ্ধে,
ইতিহাসকে নতুন
করে লিখার জন্য এ যুদ্ধ। যুদ্ধে যুদ্ধে নতুন এক
অধ্যায় সৃষ্টির
লক্ষ্যে। যারা জানেনা সেই দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ন
মাস
যুদ্ধের কথা,
যারা জানেনা সম্ভ্রম হারানোর দু:খ কি,
যারা জানেনা বাংলাদেশের মানে কি,
যারা জানেনা স্বাধীনতার
মানে কি, যারা জানেনা বিজয়ের অর্থ, তাদের
নতুন
করে জানাতে এ
যুদ্ধ,
এবং নতুন প্রজন্মের জন্য এ যুদ্ধ। এ যুদ্ধ শান্তির
যুদ্ধ।
ক্ষোভের যুদ্ধ, ফাসির যুদ্ধ।
আমরা রাজপথে আছি, থাকবো ফাঁসির দাবী আদায়
করেই। জয় বাংলা।